দক্ষিনাঞ্চলের মোনাজাত উদ্দীন খ্যাত বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক জেলা সংবাদদাতা ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি, ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজলের আজ (বুধবার) ৫১তম জন্ম বার্ষিকী। ১৯৭৩ সালের এই দিনে তিনি সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তিনি আধুনালুপ্ত দৈনিক ঝিনাইদহ ও ঝিনেদার বানী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ৯০ দশকে জেলার একমাত্র দৈনিক পত্রিকা “দৈনিক ঝিনাইদহ” তে প্রথম কাজ শুরু করেন।
তিনি অল্পদিনে দৈনিক দিনকাল ও দক্ষিনাঞ্চলের জনপ্রিয় দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। গ্রজুয়েশন শেষ করে পুরোদমে সাংবাদিক পেশার প্রতি ঝুকে পড়েন আসিফ কাজল। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঝিনাইদহ সংবাদদাতা হিসেবে প্রথম ভিডিও জার্নালিজম শুরু করেন। তার হাত ধরেই ঝিনাইদহের অনেক সাংবাদিক ভিডিও সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। নিউজ রাইটিং, কাটিং ও ভিডিও এডিটিংয়ের উপর ইউনিসেফ ও পিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থার ৪৭টি প্রশিক্ষন রয়েছে। জেলার সন্ত্রাস নির্মুলে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে চরমপন্থি দল তাকে একাধিকবার “মৃত্যুদন্ড” ঘোষনা করে হৃমকী দেয়। ২০০০ সালে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি’ মাঠ সাংবাদিকতায় কৃতিত্বপুর্ণ অবদানের জন্য দেশের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে নির্বাচিত করেন। এছাড়া তিনি দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে একাধিকবার বর্ষসেরা ও জেলার শ্রেষ্ঠ সাংবাদিকের খেতাবে ভুষিত হন। সাংবাদিকতার বাইরেও তিনি এলাকার সমাজসেবা মুলক কাজের সঙ্গে ছাত্র জীবন থেকেই জড়িত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লেখালেখির কারণে অনেক অসহায় পরিবার আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দরিদ্র ও মেধাবীদের ভার্সিটিতে ভর্তির ব্যাপারে তিনি সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তায় উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে অগ্রগনি ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর ৫১তম জন্ম বার্ষিকীতে মিডিয়া জগতের অনেকেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেছেন।