ভালুকা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে মা কেয়া চক্রবর্তী (৪০) তার মেয়ে কৃত্তিকা চক্রবর্তীকে (৮) গলাটিপে হত্যা করেছেন। পুলিশ দরজা ভেঙে বাসার ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মা কেয়া চক্রবর্তীকে আটক করা হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাদিক টাওয়ারের তৃতীয় তলায় এ হত্যা হয়।
নিহত কৃত্তিকা চক্রবর্তী শাহীন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে কেয়া চক্রবর্তীর স্বামী স্কয়ার ওষুধ কোম্পানির টেরিটরি অফিসার প্রসঞ্জিত চক্রবর্তী অফিসের কাজে বাইরে চলে যান। কেয়া চক্রবর্তীর ছোট ভাই অলক চক্রবর্তী দুপুরে তার বোনের বাসায় এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখেন। বাইরে থেকে ডেকে দরজা খুলতে না পেরে তিনি পুলিশে খবর দেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ এসে বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কৃত্তিকা চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধার করে।
অলক চক্রবর্তী জানান, আমার বোন করোনার সময় থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। হত্যার ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর জানান, বাসার দরজা ভেঙে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে মারা গেছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।