এক নারী ও স্কুল পড়–য়া বালক সহ রাঙামাটিতে কুকুরের কামড়ে ৫জন আহত হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি পৌরসভার দক্ষিন মুসলিমপাড়া এলাকায় সিএনজি চালক আব্দুল খালেকের স্কুল পড়–য়া ছেলেকে কুকুর কামড়ায়।
পরে একই এলাকার আরো ৪জনকে কামড়েছে বলেও জানা যায়। এঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাঙামাটিতে বেড়েছে কুকুরের উৎপাত। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সন্দিহান তারা। বয়স্কদের ও কামড়েছে কুকুর। গেলো বছর এই এলাকার প্রায় ৮০জন কুকুরের কামড়ে আহত হন। এবারও বেড়েছে কুকুরের উৎপাত।
এবিষয়ে রাঙামাটি পৌর প্রশাসক নাসরিন সুলতানা মুঠোফোনে জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এলাকার প্রতিটা কুকুরকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে। কিছু কুকুর হয়তো এর আওতায় আসেনি। যদি ব্যপকভাবে কুকুরের কামড়ের প্রভাব বেড়ে যায়, আমরা ঢাকা থেকে টিম এনে আবারো ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করবো। যারা আহত হয়েছেন তাদের কে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা প্রতিটি কুকুরের গলায় লাল ফিতা এবং লাল রং লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই চিহ্নিত কুকুর ব্যতিত কুকুর হতে সাবধান থাকতেও তিনি অনুরোধ জানান।
রাঙামাটি পৌরসভা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আতিকুর রহমান জানান, কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে আমরা ২টি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কুকুরকে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করেছি। এই রোগে আক্রান্ত ২০জন রোগীর জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকের নিকট ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও রাঙামাটি পৌরসভার সার্বিক সহযোগীতায় ও অভয়ারন্য নামে ঢাকার একটি এনজিও সংস্থা সপ্তাহব্যাপি এলাকার ৫শত টি কুকুরের মাঝে ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।