প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিরাজগঞ্জের তড়াশে শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে বসেছে পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গা মেলা। মেলায় নারী পুরুষ, কিশোর – কিশোরী , শিশু সহ সব বয়সের মানুষ কেনা কাটা করে থাকেন। তবে এ মেলায় সাধারণত এলাকার পুরুষদের তুলনায় গৃহবধূদের কেনা কাটা করতে বেশী দেখা যায়।
তাড়াশ কেন্দ্রিয় ঈদগাঁ মাঠে শারদীয় দূর্গা মেলা ৬ষ্ঠী পুজার দিন থেকে শুরু করে চলে বিজয় দশমীর অর্থাৎ বির্ষজনের দিন পর্যন্ত। তবে দশমীর দিন মেলায় অন্যান্য দিনের চেয়ে লোক সমাগম বেশী হয়ে থাকে।
মেলার প্রধান অাকর্ষন মাটির তৈরী তৈজসপত্র, খেলনা, চুরি মালা, নাগোর দোলা, জাম্পিং, ড্রাগন খেলাসহ বিভিন্ন মিষ্টি – মিষ্টান্ন।
আর এ মেলায় আশেপাশের পাবনা জেলার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, নাটোর জেলার সিংড়া, বগুড়া জেলার নন্দিগ্রাম, শেরপুর উপজেলা ও স্থানীয় পালেরা তাদের তৈরী গৃহস্থালীয় তৈজসপত্র বিকিকিনি করতে আসেন। মূলতঃ মৃৎশিল্প মেলা বসলেও মৃৎশিল্পের তৈজসপত্র হাঁড়ি-পাতিল, কাঁসা, ঝাঁঝড়, সরা, মাটির তৈরী ব্যাংক ও মাটির তৈরী খেলনার পাশাপাশি কসমেটিকস, চুড়িমালা, দই-মিষ্টিসহ হরেক রকম দ্রব্যাদি বিকিকিনি হয়ে থাকে এ মেলায়। আর এ মেলায় সকল ধর্মের স্থানীয় গৃহবধূরা গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মৃৎশিল্পের তৈরী তৈজসপত্র কেনাকাটা করে থাকেন।
তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা চন্দ্রবালা বলেন, দূর্গা পুজা উপলক্ষে প্রতি বছর এ মেলায় মাটির তৈরী হাঁড়ি পাতিল, মাটির তৈরী খেলনা, চুরি মালা বেঁচা-কেনা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও মেলায় মিষ্টি – মিষ্টান্ন কেনা বেচাও হয়ে থাকে। তবে এ বছর জিনিস পত্রের দাম একটু বেশী বলে তিনি জানান।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার পালপাড়া থেকে আসা মৃৎশিল্প দোকানদার হরেন্দ্র নাথ বলেন, প্রতি বছরই দূর্গাপুজা উপলক্ষে এ মেলায় হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে আসি। এবারও এসেছি। বেঁচা কেনা বেশ ভালই হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সভাপতি তপন গোস্বামী শারদীয দূর্গা মেলা প্রসঙ্গে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা। আর এ পুজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর মেলা বসে থাকে। প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলায় হরেক রকম জিনিস পত্র, গৃহস্থালি সরঞ্জামাদি, মিষ্টি – মিষ্টান্ন বিকিকিনি হয়।