পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী সানু মিয়া (৪৫) মাছের ঘেরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নজরে আসলে স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এতে তার দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বরাবরের মত গতকাল শুক্রবার রাতে ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যায় সানু মিয়া ও তার স্বজনরা। আজ সকালে এসে দেখেন রাতের আধারে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করায় ঘেরের মাছ ছোটাছুটিকরা সহ মৃত মাছ ভাসতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী জুয়েল রানা বলেন, সকালে শুনতে পাই সানু মিয়ার ঘেরে মাছ মরে গেছে। এখানে এসে দেখতে পেলাম মাছ মারার বিষক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে ঘেরের সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ মুসুল্লি বলেন, সানু মিয়া আমাদের এই মসজিদের একজন মুসুল্লি তার ঘেরে বিষ প্রয়োগের খবর পেয়ে এসে দেখলাম সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। কে বা কাহারা এমন বড় ক্ষতি করলো এটার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবী জানাই।
ক্ষতিগ্রস্ত শানু মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো তা আমি জানি না৷ সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ ভেসে উঠছে। পানি বেশি থাকায় তাৎক্ষণিক মাছ ধরতেও পারছি না। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
লতাচাপলি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি জানার জন্য ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাংগঠনিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ ঘটনা স্থলে এসেছি। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। কে বা কাহারা করেছে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভুক্তভোগী শানু মিয়াকে মহিপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করার কথা জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক। এবিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।