বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর)। সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ দিনটি উদযাপন করেন। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সন্ধ্যায় আকাশে রঙিন ফানুস উড়বে। এবছরও উৎসবমুখর পরিবেশে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হচ্ছে।
শুভ প্রবারণা পূর্ণিমায় দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ধীমন বড়ুয়া।
এক শুভেচ্ছা বার্তায় ধীমন বড়ুয়া বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বহমানকাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধদেরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, মহামতি গৌতমবুদ্ধ মানুষের কল্যাণ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিলো তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। শুভ প্রবারণা-শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার অনুশীলনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, শুভ, সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণ বা বরণ করে অসত্য ও অসুন্দরকে বর্জন করে। তথাগত গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা হতে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব এবং পরদিন হতে একমাস বৌদ্ধ বিহারগুলোতে কঠিন চীবর দানোৎসব পালন নীতি প্রচলন করেন।
ধীমন বড়ুয়া বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমায় দেশ ও বিদেশের সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এ কামনায় প্রবারণা পুর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত