রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া বাজার সড়কে সিএনজি ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে গত ১ সপ্তাহ ধরে। যা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে এ সড়কের সাধারণ যাত্রীরা। এ ঘটনায়
প্রতিদিন সিএনজি চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা ও মারধরের ঘটনা গেলেই আছে। শ্রমিক নেতারা চেষ্টা করলেও কয়েক উগ্রপন্থারচালকদের একঘেয়েমির কারণে থামানো যাচ্ছে না
অতিরিক্তি ভাড়া আদায়ের অপতৎপরতা।
বুধবার দিনব্যাপী সড়কে চলাচলকারী যাত্রী,সিএনজি চালক শ্রমিক ও তাদের নেতাদের সাথে কথা এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
সড়কের যাত্রী মোহাম্মদ বেলাল,হাফেজ সোলাইমানসহ বেশ কয়েকজন এ প্রতিবেদককে বলেন,রামু -নাইক্ষ্যংছড়ি -গর্জনিয়া বাজার সড়কের দুরত্ব মাত্র ১১ মাইল। সড়কটি পুর্বাংশের রয়েছে প্রচীন জনপদ রামুর গর্জনিয়া,কচ্ছপিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মোট ৪ টি ইউনিয়ন । যেখানে জনসংখ্য রয়েছে ২ লাখ। যারা ককসবাজার ও বান্দরবান জেলা সদরে যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়েই।
বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিতরা ,বিস্তৃর্ণ বনজ সম্পদ আহরণে যাতায়াতকারীরা,,রাবার শিল্প রপ্তানীকারকরাসহ ,ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্যে এটি একমাত্র সড়ক হিসেবে ব্যবহার করেন সকলে। এ সড়কে অন্তত ৩ শতাধিক সিএনজি গাড়ি যাত্রি বহন করেন। রাস্তা সরু হওয়ায় অন্য কোন গাড়ি এ সড়কে যেতে চার না।
এ সুযোগে সিএনজি চালকরা তাদের ইচ্ছা বাস্তরায়নে প্রতিনিয়ত যুক্তি দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে চলেছে এ সড়কে। এ যেন এক মগের মুল্লুক। এক সময় ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। তা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়। এভাবে ৩০ টাকা। সর্বশেষ অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করতে থাকে চালকরা। যা নিয়ে ক্ষোভ আর হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন যাত্রিরা। এ কারণে যাত্রীদের সাথে চালকদের নানা সমস্যার সমাধান হতে না হতেই আজ-কাল আবার ভাড়া বাড়িয়ে ৬০ টাকা করে তা জোর করে আদায় করা হচ্ছে।
এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই সিএনজি চালকরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদকারী যাত্রীকে নানাভাবে হেনাস্থা করে ছাড়ছেন প্রতিনিয়ত। অথচ এ বিষয়ে বলার বা জানানো কোন কতৃপক্ষকে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। পুলিশ বলছেন এ সব তাদের কাজ না।
অপর যাত্রি আনোয়ার সিকদার বলেন, সিএনজি ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ নাই-
অযৌক্তিক। যদি ভাড়া বাড়ায় তাহলে বৃহত্তর আনন্দোলন হবে। মানব বন্ধন হবে। গর্জনিয়া- কচ্ছপিয়া, দৌচরী ইউনিয়ন এর জনগনকে নিয়ে আমরা আনন্দোলনের ডাক দিব।
এভাবে অসংখ্য যাত্রী তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন এ প্রতিবেদককে।
এ বিষয়ে রামু শাখা অটোরিকসা (সিএনজি) টেম্পো ও মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুজিবুর রহমান ভূট্টু বলেন, ভাড়া ৫০ টাকাই সমিতির পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা আছে।
কিন্তু কিছু চালক এ সিদ্ধান্ত না মেনে ৬০ টাকা নিচ্ছে, যা তারা নানাভাবে বাধাঁ দিচ্ছে।
অনেক সময় ব্যর্থ ও হচ্ছে তারা।
এ পর্যায়ে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে পারেন।
এ বিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন,তিনি অসুস্থ। তবে তিনি অধিনস্থদের দিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান সাংবাদিকদের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত