রাঙামাটিতে জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন, রাঙামাটির সার্জন ড. নূয়েন খীসা।
রাঙামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন পাটোয়ারী ও রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসার অমিয় কান্তি খীসা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মাওলানা আলী আহসান ভুইঁয়ার সঞ্চালনায় এসময় ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি ডা. জয়ধন তংচংঙ্গ্যা, কাপ্তাই উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার নাছির উদ্দিন, লংগদুর ফিল্ড সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক, নানিয়ারচর সুপারভাইজার এসএম মাইনুল আলম মুবিন, কালেক্টরেট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল হাসেমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নারী শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূয়েন খীসা বলেন, জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সরকার বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী পালন করতে যাচ্ছে। আগামী ২৪ অক্টোবর হতে মাসব্যাপী ঢাকা বিভাগ ছাড়া বাকি ৭টি বিভাগে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীর সকল কিশোরীদের টিকাদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সকলে নিজ নিজ জায়গা থেকে এই টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এসময় দশ থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী সকল কিশোরীদের ও এই কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এই টিকা ডব্লিওএইচও দ্বারা স্বীকৃত। সুতারং ইসলামী মূল্যোবোধ ও সন্তান প্রজনন প্রতিরোধে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হবেনা। এসময় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচী রাঙামাটিতে সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলেও মস্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলার ইমামদের উদ্দ্যেশ্যে ইকবাল বাহার বলেন, আপনারা জনগুরুত্বপূর্ন এই কাজে সকলকে সহযোগীতা করবেন। এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে আগামীকাল মসজিদে মসজিদে এই টিকাদানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।
জেলার মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা প্রকল্পের নারী শিক্ষকদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, আপানারা আপনাদের এলাকায় গিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মাঝে এই এইচপিভি টিকাদানের বিষয়ে সচেতসতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করবেন। আপনারা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস প্রতিরোধে ভুমিকা রাখবেন।