পবিত্র কোরআনের সূরা রহমান এর ভিতরে মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেন, “তোমরা আমার কোন নিয়ামত টাকে অস্বীকার করবে?” সৃষ্টিকর্তার অপরুপ সৃষ্টির মাঝে এমন কোন সৃষ্টি নেই যেটি মানুষের জন্য কল্যাণকর নয় । বাহারি রকমের শাক সবজির মধ্য আবহামানকাল থেকেই ঢেঁকি শাক একসময়ে গ্রামবাংলার অতি পরিচিত ও অতি প্রিয় একটি শাক।
আগের দিনে ভিটায় ঝোঁপে ঝাড়ে বাড়ির আঙ্গিনায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত টেঁকি শাক।
রান্নার কিছু না থাকলে শাশুড়ি পুত্রবধূকে অথবা মা মেয়েকে এমনকি স্বামী তার স্ত্রীকে কইত আরে চিন্তা নাই আজ ঢেঁকি শাক রান্না করলেই চলবে পারলে সাথে একটু ডাল।
এখন নতুন প্রজন্মের অনেকেই ঢেঁকি শাক চিনে না। নিত্য নতুন বাড়ি ঘর তৈরি হওয়াতে ভিটে,ঝোঁপ -ঝাড় না থাকায় জীব বৈচিত্র্যর রহস্যময় এরুপ শাক এখন বিরল।
সরকারি উদ্যোগে বানিজ্যিকভাবে ঢেঁকি শাকের আবাদ করলে হয়ত খারাপ হত না।
এই শাকটা ই বেশি পছন্দ করে মানুষ কারণ খেতে সুস্বাদু। এর একটা সুন্দর নাম আছে বৌ ঢেঁকি শাক। হয়তো আগের দিনের মাথা নোয়ানো নতুন বৌ এর মত শাকের ও মাথা নোয়ানো থাকে, তাই। বউ যত পুরাতন হয় মাথা ও মাথার ঘোমটা তত উঁচু হয় শাকটার জীবনচক্রও তেমনি। নতুন বৌ এর মাথা নোয়ানো যেমন হারিয়ে গেছে তেমনি ঢেঁকি শাক ও এখন বিলুপ্ত প্রায়।
শাক হিসেবে যেমন কদর ছিল ঢেঁকি লতার তখন বিকল্প ব্যবহারও ছিল। যখন আধুনিক দড়ি গ্রামের মানুষ পেত না তখন পরিপক্ব ঢেঁকি লতা ফালি করে রোদে শুকিয়ে রশির বিকল্প হিসেবে বেড়া,খড়ের চালের স্ট্রাকচার বাধার কাজে ব্যবহার করত।
এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় নেই খড়ের ঘর নেই সেই মানুষ, নেই ঢেঁকি লতার ব্যবহার। উপজেলার সর্ববৃহৎ কালাইয়া বন্দর বাজারের সবজ্বি বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, আগে অনেক ঢেঁকি শাক পাইতাম গ্রামের ভিটার ঝোপের মধ্য। খাইতাম বিক্রি করতাম এখন এই শাক পাইনা বললেই চলে।