হেমন্তকালের মাঝামাঝি সময়। এ মধ্যে রাতে মিলে ঘন কুয়াশা আর শেষ প্রহরে হিম হিম শীতল হাওয়া। সকালে দেখা মেলে কুয়াশার আচ্ছাদন। ঠাকুরগাঁওযে ভৌগোলিক অবস্থান হিমালয়ের পাদদেশে তাই শীতের আগমনী বার্তা আমাদের জানান দিচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। রাতে ফ্যান বন্ধ রেখে ঘুমাতে হয় নতুবা গায়ে চিকন কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হয়।
আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, সবুজ ধানের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
সদর উপজেলার আখানগর এলাকার আ: সামাদ বলেন, এবার একটু আগেভাগেই শীতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
চিলারং ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন,
মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। এই আবহাওয়ায় সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে। ধানের শিষে শিশির মিলছে। দেখা মিলছে কুয়াশাও।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শীতার্তদের মাঝে এবারও শীতবস্ত্র আগেভাগেই বিতরণ করা হবে।