আলীকদমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও বান্দরবান জেলা পরিষদ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তামাক চাষের বিকল্প ফসল হিসেবে কৃষকদের মাঝে ভুট্টা,চিনাবাদাম চাষের কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় আলীকদম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে হল রুমে তামাক চাষের বিকল্প ফসল হিসেবে কৃষকদের মাঝে ভুট্টা,চিনাবাদাম চাষের কৃষি উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে জানা যায়,তামাক চাষের বিকল্প ফসল হিসেবে কৃষকদের মাঝে ভুট্টা,চিনাবাদাম চাষের কৃষি উপকরণ হিসেবে জনপ্রতি বাদাম ১২ কেজি,ভুট্টা ২ কেজি, সার-কীটনাশক এবং বীজতলা পরিচর্যা করার জন্য নগত ১ হাজার টাকা করে মোট ১২০ জন কৃষকদের বিতরণ করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আলীকদম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কৃষিবিদ সোহেল রানা’র সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত্র দাশ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রূপায়ন দেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ মির্জা জহির,আলীকদম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো,উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মীর কাশেম ছোট্টসহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,আলীকদম উপজেলায় তামাক চাষের বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা, বাদামের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার আপনাদের কে বীজ সার,নগত টাকা দিচ্ছে এই গুলো দিয়ে সবজি চাষ করবেন। অত্র উপজেলায় মাতামুহুরি নদীসহ কোন জলধারার পাশ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে কোন চাষী তামাক চাষ করেন তাহলে অভিযানের মাধ্যমে সেগুলো ধ্বংস করা হবে। তামাক ক্ষেতে অতিরিক্ত সার,কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পানির মাধ্যমে নদীতে ছড়িয়ে পড়ার কারণে নদীতে এখন আগের মত মাছ পাওয়া যায়না। নদীর পাশের জমিগুলো সরকারি খাস ভূমি। সেখানে আপনারা মৌসুমি সবজি চাষ অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন এবং নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন। তারা আরও বলেন, তামাকের কারণে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস করে তামাক চুল্লীর জ্বালানী হিসেবে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের গাছপালা।