রামুর কচ্ছপিয়ার তুলাতলিতে ব্যবসায়ী আবদুল গফুর নামের এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ( ২ নভেম্বর) ভোররাতে তাকে খুন করা হয়। এ নিয়ে নানা জনের নানা বক্তব্য উঠে আসলেও প্রকৃতার্থে তিনি মারা যান। ঘটনার রহস্য সৃষ্টি হওয়ায় তাকে ময়নাতদন্তের জন্যে মৃতকে ককসবাজার সদর হাসপাতালের মভগে পাঠানো হয়।
এ ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে স্খানীয়রা বলেন, মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর নাম আবদুল গফুর (৫৫)। সে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড়ের তুলাতলী গ্রামের লম্বা ঘোনা এলাকার মৃত জালাল আধহসদের ছেলে।
পুলিশ জানান,এ ব্যবসায়ী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ভোরে কচ্ছপিয়ার তুলাতলি গ্রামের জনৈক হামিদ হোসেনের খড়ের বাড় ( কুইজ্জা)এর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি শ্চিশ্চিত করে গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশের আইসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ককসবাজার সদর হাসপাতালের মার্গে পাঠানো হয়।
তার মতে খড় চুরির অভিযোগে তার খুনের কথা সওর হলেও এখানে কী কারণে তাকে মারা হয় বা তার কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্ত শেষে। মৃতের পরিবার সূত্র জানান,আবদুল গফুরকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। স্থানীয় বার্মাইয়া হামিদ ও জাফর মিলে গফুরকে খুন করে। তবে খুনিরা খুনের পর নানা নাটক সাজিয়েছে।
মৃত গফুরের সন্তানরা জানান,তার পিতাকে বার্মাইয়া হামিদের ভিটা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যেহেতু তিনি পশুব্যবসায়ী হয়ত ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বিরোধের জের ধরে তাকে খুন করা হয় শনিবার ভোর রাতে।
অভিযুক্ত হামিদ হোসেনের মেয়াে সপ্তম শ্রেনির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, মূলত গফুর মারা যান নিজের দোষে। আবদুল গফুর নানা তাদের গরুর ঘাসের খড়ের স্তুপের খড় চুরি করতে এসে বৈদ্যুতিক আর্তীং তারে শর্ক খান । ভেজা মাটিতে খালি পায়ে আর্তিং করার সাথে সাথে তিনি ঢলে পড়েন। পরে মারা যান বলে তার ধারণা। তার মতে তিনিই প্রথম ভোর সকালে গফুরকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন।