আদালতে মামলা করায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন-(৬৯) নামক মামলার বাদীর পরিবারের ওপর কয়েক দফা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামী পক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের।
হামলায় বাদী ও তার মেয়ে আহত হয়েছেন।আহতরা কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে পূর্বের মামলা তুলে না নিলে বাদী পক্ষের লোকজনকে প্রাণ নাশ ও বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছে প্রভাবশালী আসামী পক্ষ। এই ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
বুধবার(৬ নভেম্বর) সকালে কালকিনি থানার ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামী পক্ষের লোকজনের হুমকী-ধামকীর ফলে অসহায় বাদী পক্ষের লোকজনের মাঝে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভূক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কানুরগাও গ্রামের মোয়াজ্জেম খাঁনের সাথে একই এলাকার মোঃ জাফর খাঁন দের জমি(ডিসিয়ারের)নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় মোয়াজ্জেম খাঁনের মেয়ে হেনা পারভীন বাদী হয়ে জাফর খানসহ বেশ কয়েক জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা (সিআর নং-৩৬৪/২০২৪) দায়ের করেন । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা ও তাকে মারধোর করে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় বাদী পক্ষের লোকজন।এছাড়া প্রাণ নাশ ও বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়ারও হুমকী দিয়ে আসছে ওই প্রভাবশালী আসামী পক্ষ। পরে এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরি ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
মামলার বাদী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন ও তার মেয়ে হেনা পারভীন কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, আমরা অসহায় তাই আমাদের জমি দখল করতে চায় জাফর খান ও তার লোকজন। তবে আমরা তাদের বাধা প্রদান করলে তারা আমাদের মারধোর করেছে। তাই আমরা তাদের নামে আদালতে মামলা করেছি।এখন মামলা করায় পুনরায় তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।এ ঘটনায় আমরা থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলা তুলে না নিলে আমাদের প্রাণনাশ ও বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছে ওই প্রভাবশালী আসামী পক্ষ। আমরা তাদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাফর খানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন,অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।