জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ এনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য কুয়াকাটার ওসমান শেখ পরিবারের পক্ষ থেকে পৌর এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়। পরে মানববন্ধনের আয়োজকরা নিজেরাই এ মানববন্ধনে অংশ নেয়নি।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। মাইকিং শুনে কুয়াকাটা পৌর এলাকার ভুক্তভোগী অর্ধশত মানুষ জড়ো হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত আয়োজকরা উপস্থিত হয়নি। তবে তিনটি ব্যানার নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানো হয়েছে। পরবর্তীতে মাইকিং শুনে আসা ভুক্তভোগীরা এ ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির এ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে গণমাধ্যমে কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া, ক্ষতিগ্রস্থ আবদুর রশিদ মোল্লা ও মজিবর রহমানসহ স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারের দোষর ভূমিদস্যু রুহুল আমিন হাওলাদার কুয়াকাটার অনেক অসহায় মানুষের জমি দখল করে ভোগ করে আসছেন। এসব জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া এবং রুহুল আমিনের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন আয়োজনকারী শাহীন শেখ বলেন, আমাদের সাথে বিরোধের বিষয়টি ফয়সালার আশ্বাস পেয়েছি। তাই মানববন্ধন আজ করবো না। পরবর্তীতে করলে জানাবো।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন হাওলাদার এর স্থানীয় প্রতিনিধি মো: ফারুক হোসেন বলেন, মানববন্ধন আহবানকারীদের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তাদের জমি তাদের দখলে আছে। আর যাদেরকে ভুক্তভোগী বলা হয়েছে তাদের সাথে হাওলাদারের কোন বিরোধ নেই। জমি দেওয়ার কথা বলে তারা টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে নানা ছলচাতুরী করে আসছে। এ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটি পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এহেন কর্মসূচি পালন করছে বলে তার দাবী।