কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা স্থানীয় বাজারগুলোর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার নিরলস পরিশ্রম ও জনসচেতনতার প্রচেষ্টায় স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশংসার ঝড় উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার চন্দনপুর বাজারে উপস্থিত হয়ে তিনি প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা দেন। বাজারে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ওজনে কারচুপি রোধ এবং পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেন তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য বাণিজ্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এক ব্যবসায়ী জানান, “উম্মে মুসলিমা ম্যাডাম আমাদের প্রথমবারের মতো সতর্ক করে দিয়ে গেছেন। আমরা তার নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করব।” এলাকাবাসীর মতে, তার এই উদ্যোগ বাজারে শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে। এছাড়া সাংবাদিক সমাজও তার এই কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছে। এ বিষয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, “উম্মে মুসলিমা একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তার এই উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তার মতো কর্মকর্তারা প্রশাসনের সুনাম বাড়িয়ে তুলছেন এবং এভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে তিনি প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলছেন। তার এই প্রচেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উম্মে মুসলিমা তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় জনগণের স্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছেন। তার কঠোর নজরদারির ফলে উপজেলার বাজার ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছে এলাকাবাসী।
বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি সর্বদা চেষ্টা করি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে। চন্দনপুর বাজারে গিয়ে দেখে এসেছি, ব্যবসায়ীদের অনেকেই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি সবাইকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করেছি এবং আশাকরি ভবিষ্যতে তারা আরও সতর্ক থাকবেন। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিয়ম মেনে ব্যবসা করলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই উপকার হবে। আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যাতে মেঘনা উপজেলার জনগণ একটি সুশৃঙ্খল ও ন্যায্য বাজার ব্যবস্থাপনা পায়। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হব।”