খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলাধীন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৬টি সমাজ নিয়ে অবস্থিত ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত “মুসলিম পাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান” উন্নয়নে সহযোগিতা চেয়েছেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদিন সরকার ও সেক্রেটারী মোঃ আনোয়ার হোসেন। নবগঠিত কমিটি গঠিত হয় গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে। মাটিরাঙ্গা আর্মি জোনের পাশে এ কবরস্থান অবহেলা অযত্নে পড়ে আছে প্রায় বছর ধরে। দীর্ঘকাল অবধি এ কবরস্থান সংস্কারে এগিয়ে আসেনি এলাকার কোন জনপ্রতিনিধি। কয়েকবার সংস্কারের উদ্দ্যোগ নিয়েও অর্থের অভাবে সামনে এগোতেই পারেনি কবরস্থার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা। কবরস্থান পরিচালনা কমিটির অন্যন্য সদস্যরা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ কমিশনার, মোঃ মোস্তফা, রুবেল মাহমুদ, মোঃ বাবুল, ও আল মামুন টিটুল জানান, কবরস্থানটি উন্নয়নের জন্য সংস্কার জরুরী, কবরস্থানের দক্ষিন পাশে আরসিসি ওয়াল। যার দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট । ওয়ালের পাশে একটি পানি নিস্কাষন ড্রেনও জরুরী।
কবরস্থান ড্রেসিং করা , কবরস্থান দীর্ঘ বছর লাশ দাফন করার ফলে সমস্ত কবরস্থানে গর্তে পরিনত হয়েছে। কবরস্থানের দক্ষিন পাশে বিশাল লোংগা রয়েছে। লোংগায় ও সমস্ত কবরস্থানের গর্তগুলো মাটি ভরাট করলে কবরের জায়গা বৃদ্ধি পাবে। কবরস্থানে লাশের সেড না থাকায় বর্ষা মৌসুমে লাশ দাফন করতে খুব অসুবিধা পোহাতে হয়। এ অবস্থায় একটি লাশের সেড খুব দরকার।
কবর খোড়ার জন্য সরঞ্জামাদি ইত্যাদি রাখার জন্য একটি ছোট্ট কক্ষের প্রয়োজন।
এলাকাবাসি অনেকেই দাবী করেন, নানান জায়গায় আমরা কবরস্থানের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিতে দেখেছি। কিন্তু আমরা কোন বরাদ্দ পায়নি। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে বরাদ্দের আবেদন জানাবো। তারা যেন আমাদের কবরস্থান সংস্কারে সহযোগিতা করে।
কবরস্থান পরিচালনা কমিটি জানিয়েছেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম এ কবস্থানের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
এলাকার সমাজ সেবক নুর ইসলাম ও পশ্চিম মুসলিম পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, কবরস্থানটি অতি পুরাতন, এলাকার বাইরেও যারা প্রবাসী, দানবীর তারা যেন ধর্মীয় এ মহৎ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ বছরের পুরনো কবরস্থানে কোন আয়ের উৎস্য না থাকায় উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ হয়নি। চলতি বছর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা পুরো কবরস্থান সংস্কারের উদ্যোগটি নিয়েছেন। এতে এলাকাবাসীরাও যে যা পারে তা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।