ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগীতা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ২০নভেম্বর আকবরশাহ্ থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ ইলিয়াছ খানসহ ৪ নেতাকে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি।
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া ইলিয়াছ খানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত দল বড় করার জন্য আওয়ামী দোসরদেরকে দলে ভিড়ানো, দখলবাজি,
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের খামার থেকে গরু লুট করার অভিযোগও রয়েছে।
আকবরশাহ থানা বিএনপি’র একাধিক সূত্র জানিয়েছেন সম্প্রতি ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদকে সিডিএ থেকে আকবরশাহ থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে ইলিয়াছ খান দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কচি এবং আকবরশাহ থানা যুবলীগ নেতা রাজিবের সাথে ইলিয়াছ খানের রয়েছে যৌথ ব্যবসায়িক লেনদেন।
ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নুর নবী নামে এক ব্যক্তি জানায়, “দল থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার করাতে দৌড় ঝাপ করছে ইলিয়াছ, কাউন্সিলর জসিমের গরু লুটপাটের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কাছে ইলিয়াছসহ ৩১জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে যা সমকাল পত্রিকায় নিউজ হয়েছিলো। এই ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদকে পুলিশের কাছ থেকে ঐ (ইলিয়াছ) জোড় করে ছিনিয়ে নেয় যার জন্য বিএনপি থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়। (প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ড সংরক্ষিত)
ইলিয়াছ খানের বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায় নিবেনা বিএনপি এমনটাই জানিয়েছেন আকবরশাহ্ থানা বিএনপি’র একাধিক নেতা।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইলিয়াছ খান বলেন “যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক, আমি বিএনপি করার কারনে ৪১টি মামলার আসামী হয়েছি, আমার সাথে কোনো আওয়ামী দোসরের সম্পৃক্ততা নেই- কেউ যদি প্রমান করতে পারে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো”।