➤এক যুগের বেশি ঝুঁকি নিয়ে চলছে সাবরেজিস্টার অফিসের কার্যক্রম।
➤টেবিলের উপর খসে পড়ছে পলেস্তারা।
➤ বৃষ্টি হলে টেবিলে বিছানো হয় পলিথিন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আশংকা করছেন। ফলে দাফরিক কাজ করার সময় ভয়ে তারা সব সময় থাকেন তটস্থ। ইতোমধ্যে ভবনের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ থেকে খসে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে গেছে বিমের রড। সেবাপ্রত্যাশীরা বলছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুঁঁকি নিয়ে চলছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম।
এদিকে পুরানো ভবনের পাশেই ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুইতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনটি পড়ে আছে। ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার পলাতক থাকায় নতুন ভবনের কাজ থেমে আছে। নতুন ভবনে পানির লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ, বাথরুমের পিটিংস ও সিড়ির কাজ বাকি রয়েছে। ঠিকাদার কবে কাজ শেষ করবে তাও অনিশ্চিত।
সরজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ভবনটি জীর্ণদাশায় পরিণত হয়েছে। সিলিং ফ্যানের হুকগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনের অনেক স্থানে মেঝের ঢালাই খসে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনও ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টি হলে টেবিলের ওপর পলিথিন বিছিয়ে রক্ষা করতে হয় প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজ ও কাগজপত্র। মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগেও যে এমন জরাজীর্ণ ভবন আছে সেটা ভেবে খুবই বিস্ময়কর লাগে।
সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসের অফিস সহকারী আশিশ কুমার সাহা জানান, ৮০’র দশকে নির্মিত হয় শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। অফিসটির বয়স এখন ৪৫ বছর। ১২ বছর আগেই ভবনটি কাজের অনুপযুক্ত। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের আওতায় ২০২৩ সালে পুরাতন ভবনের পাশে দুই তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষও হয়েছে। কিন্তু কিছু কাজ এখনো বাকি থাকায় নতুন ভবন হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।
সাব-রেজিস্টার সেনালী খানম বলেন, একটি পৌরসভাসহ শেলকুপার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমান গোটা ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা ভেঙ্গে টেবিলের উপর পড়ে। এতে দলিলের দাতা গ্রহীতারা ভীত হয়ে পড়েন। এর আগে বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন অনেকেই। তিনি বলেন, বর্ষার আগে ভবন বুঝে না পেলে হয়তো জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন মোল্লা জানান, ‘ভবনের কাজ হয়ে গেছে। একটি গভীর নলকূপের পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য দেরি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে ঝিনাইদহ গণপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী এসকে আরেফিন নুর জানান, ভবনের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত