বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশী কাঠুরিয়াকে সীমান্ত চৌকি নিয়ন্ত্রন নেয়া মিয়ানমার বিদ্রোহী আরকান আর্মি কতৃর্ক ধরে নেওয়া মুফিজকে ফেরত চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতাকর্মী সহ স্থানীয়রা। ২৭ এপ্রিল রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় স্থানীয় ফুলতলী সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুব দলের আহবায়ক আবু সোফিয়া চৌধুরী সোহেল, ছাত্র দলের আহবায়ক জিয়াবুল হক জিয়া, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জহির আহমেদ, উপজেলা জাশাস এর সভাপতি ছৈয়দ আলম, ওয়াড় মেম্বার শামসুল আলম, ইউনিয়ন যুব দলের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ সভাপতি বদিউল আলম বদুসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন প্রতিবেশী দেশ আরকান আর্মি বেঁচে আছে এদেশের কিছু আসাদু নাগরিকদের পাচার করা খাদ্যদ্রব্য পেয়ে। মফিজকে ফেরত না দিলে আগামীতে যে কোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সমস্ত সীমান্তদিয়ে দিয়ে পাচার হওয়া খাদ্যদ্রব্য এদেশের মানুষ বন্ধ করবে। এতে সীমান্ত বাসি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা ও কামনা করেন। মানববন্ধনে অপহৃত মুফিজের বৃদ্ধ ৬০ বৎসর বয়েসী মা নুরজাহান, কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত শত শত নারী পুরুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ বিষয়ে,
সীসান্তের লোকজন দফায় দফায় মিটিং করে সীমান্ত দিয়ে খাদ্য পাচার বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন একাধিকবার। বিজিবি সুত্রে জানান, সীমান্তে দুর্ঘটনা এড়াতে ও তাকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বিজিবি নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল সোমবার সকালে বাগান পাহারাদার ও কাঠুরিয়া সদর ইউনিয়নের ফুলতলী ৯নং ওয়ার্ড মৃত্যু পেঠান বলীর পুত্র মুফিজুর রহমান (২৭) কে মিয়ানমার বিদ্রোহী গোষ্টি আরকান আর্মি ( এএ) ধরে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার পরিবারের মাঝে কান্না থামাতে পারছে না কেউ।
বর্তমানে সে (মুফিজ) আরকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে সেই থেকে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত