পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফরিদ সিকদার প্রতারণার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
অবশেষে গতকাল রাতে ডেমরা থানা পুলিশ ফরিদ সিকদারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় নেতৃত্বে ছিলেন বাউফল থানার এসআই মো. মাসুদ খলিফা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাউফল থানার মামলা নং: ৪/৭/২৪, যার আওতায় তাকে দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ৪০৭ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সিআর মামলা: ৩৪০/২৪ এবং ১২৪৪/২২ নং মামলায় এন আই অ্যাক্টের ধারা (১) অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও সিআর মামলা নং ৬৫৯/২৪ রয়েছে। ফরিদ সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোট ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭২০ টাকা আদায় করেন। বাদী আবদুল মালেক আনোয়ারী, পিতা আনোয়ার হোসেন, সাং কৌখালী থানা বাউফল জেলা পটুয়াখালী – তিনি সহ আরও তিনজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এই টাকা নেয়া হয়।
এছাড়া মির্জাগঞ্জ, ঢাকা (বিশেষ করে ডেমরা এলাকা) ও অন্যান্য স্থানেও ফরিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, ফরিদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে হজ্জ করতে যেতে পারেননি। আশা করছি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। ভুক্তভোগীরা বলেন, মনে বড় আশা ছিল নবীজির রওয়া জিয়ারত করব। কিন্তু এই ফরিদ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন যার কারণে আমরা হজ্বে যেতে পারি নাই। আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার জানান, তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।