ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নসিমন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সোহেল মিয়া (২৪) নামে এক যুবক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন, যিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চৌধুরী ভিলার সামনে নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল মিয়া রতনপুর ইউনিয়নের দুবাচাইল গ্রামের অবিদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় সোহেল মিয়া মোটরসাইকেলযোগে নবীনগর থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা কাঠ বোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় মোটরসাইকেলসহ তিনি নসিমনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় নসিমনের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা হাসিব। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে খবর দিলে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তাকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই নসিমনের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, তাকে চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নসিমন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী সোহেল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হাসিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই নসিমনের চালক পালিয়ে যায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটিতে ভারী যানবাহনের চলাচল ও বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নসিমনের মতো অনিবন্ধিত যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন তারা।