বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এপারের সীমান্তরক্ষীদের তটস্থ রাখতে বিদ্রোহী আরকান আর্মি নিয়মিত গুলি ছুটে জিরো লাইনের কাছাকছি। তাদের কৌশল, উভয় দেশের চোরাকারবারীরা যেন
নির্বিঘ্নে কারবার করতে পারে পক্ষান্তরে
বিজিবি যেন ঐ এলাকা থেকে সরে যায়
সে কারণে এ গুলি ছুঁড়া হচ্ছে ধারণা সীমান্তে অভিজ্ঞ মহলের।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অধিবাসী আবদুসসালাম,আরদুর রহিম ও গুরা মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন,শনিবার ( ১৭ মে) দুপুরে সীমান্ত সড়ক দিয়ে ভাল্লুকখাইয়া বিজিবির ১টি টহলদল চোরাইপণ্য জব্দ অভিযান চালান। তারা এ সময় ৪৫ কে.জি কমলা ফল জব্দ করেন। এরও আগে সীমান্তের অন্য পয়েন্টে এক পিকআপ বিভিন্ন ধরণের চোরাইপণ্য জব্দ করেন। যা ওপারে বিদ্রোহী আরকান আর্মিদের জন্যে নেয়া হচ্ছিল।
যা শোনার আধঘন্টার মধ্যে সীমান্ত ঘেঁষা বিদ্রোহী আরকান আর্মির বড় একটি ঘাঁটি রয়েছে চেলির টাল নামক এলাকায় । যেটি সীমান্তের ৪৭,৪৮ ও ৪৯ নম্বর পিলারের ২ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এ ঘাঁটির অধীনে থানা টহল পার্টি এসে পরপর কয়েক রাউন্ড একে-৪৭ রাইফেলের গুলি ছুঁড়ে।
যা শুনে এ পয়েন্টে অন্যান্য দায়িত্বরতরা ও সীমান্তবাসীরা তটস্থ হয়ে পড়ে।
এভাবে প্রতিদিন গুলি ছুঁড়ে সীমান্তের এ পয়েন্ট সহ অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায়।
তারা আরো জানান,এ ধরণের বড় ঘটনা
১৪ মে দুপুরেও ঘটে। সে দিন পরপর ১৫ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি ছুঁড়ে বিদ্রোহী আরকান আর্মি। যাতে এপারে বসবাসরত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম সমূহ ও সীমান্ত পাহারারত রক্ষীরা নিরাপদ দুরত্বে চলে যেতে বাধ্য হয়।
তারা বলেন এ ধারণের ঘটনা আন্তর্জাতিক সীমান্তে আইনেরও চরম লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবির একাধিক কর্মকর্তার সাথে
যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। তাই তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।