খাগড়াছড়িতে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে অপহরণের দাবি করেছেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ।অপহৃতরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তবে অপহৃত পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে রিশন চাকমা পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন সদস্য।
বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে ( অস্ত্রের) মুখে এই পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এমনটা দাবি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা।বিজ্ঞপ্তিতে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানানোসহ একইসাথে অবিলম্বে অপহৃত শিক্ষার্থীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। একইসাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় অপহৃত শিক্ষার্থীরা বিঝু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যায়। বিঝু শেষে গতকাল ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে চলে আসে। ঐদিন চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ার কারণে তারা পাঁচজন খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া নামক জায়গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। আজ ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ি কুকিছড়া থেকে টমটম গাড়ি যোগে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল এলাকায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের গাড়ি আটকায় এবং টমটম গাড়ির ড্রাইভারসহ ৫ (পাঁচ) জন শিক্ষার্থীকে সেখান থেকে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান,এবিষয়ে কেও থানায় অভিযোগ বা অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখেও রাঙ্গামাটি সদর থেকে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তিনদিন পর ছেড়ে দেয়। অধিকারকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের এ ধরণের ন্যাক্কারজনক অপহরণ ঘটনা ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন দেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কোনভাবেই কাম্য নয় এবং এটি গণঅভ্যুত্থান চেতনার পরিপন্থি।
