পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে এর ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে পাহাড়েরর পর্যটনশিল্প। চরম ক্ষতির সম্মুখীন এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পর্যপন শিল্পের সাথে জড়িত রাঙামাটির হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছে। বেকার হয়ে পড়েছে ট্যুরিষ্ট বোর্ট সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা।
চলমান এই পরিস্থিতিতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য বলে জানয়েছেন রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এখানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তা একটু অনুসন্ধান করে দেখলে বোঝা যায় এখানকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে একটি পক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার পায়ঁতারা করছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের দাবি দাওয়া আর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির মধ্যে সীমবদ্ধ নয়।
শান্তি চুক্তির পুর্নমূল্যায়ন ও আদিবাসী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য বিবৃতি অন্য কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সম্পাদিত শান্তি চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী পাহাড়িদের উপজাতি এবং বাঙালিদের অ-উপজাতি হিসেবে লিখিত আছে। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে একটি পক্ষ নিজেদের আদিবাসী এবং অন্যপক্ষকে (বাঙালিদের) সেটেলার বানিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রথমত প্রয়োজন অবৈধ্য অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজি, গুম ও হত্যা বন্ধ করা এবং ব্যাবসা বাণিজ্যের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা। এখানে বসবাসকারী ১৩টি উপজাতি ও অ-উপজাতিদের সৌহার্দপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি। (বিজ্ঞপ্তি)