সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক মৎস্য চাষীর মালিকানাধীন পুকুরে জোড়পূর্বক মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির রায়হান গংয়ের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মালশিন গ্রামে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাড়াশ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন পুকুর মালিক মো. শিশির আহমদ মতিন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার মালশিন গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. জহির রায়হান, আব্দুল আলিম খন্দকারের ছেলে খন্দকার মিলন, মৃত মজদারের ছেলে গোলাম আম্বিয়া, আসাদ আলীর ছেলে রঞ্জিত, আলিমুদ্দিন, হুজুর আলীর ছেলে আব্দুল রাজ্জাক, আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন ও মৃত জেনাত আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গবার দুপুরে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মালশিন গ্রামের মো. শিশির আহমদ মতিনের মালিকানাধীন পুকুরে সুফলভোগীদের পুকুর ভেবে মাধাইনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির রায়হানের নেতৃত্বে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জোড়পূর্বক ওই পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় পুকুর মালিক মতিন বাধা দিলে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে দেশী অস্ত্র, হাসুয়া, লোহার রড, রমাদাসহ হামলা চালিয়ে তাঁকে অাহত করেন।
পরে এ ঘটনায় বিকেলে শিশির আহমদ মতিন অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাড়াশ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জহির রায়হানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। লোক মুখে শুনেছি মাছ ধরার ঘটনা।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, এজাহার দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।