ছাত্র আন্দোলন দমনে অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগানদাতা সাবেক কাউন্সিলর এহেসান উল্লাহকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজীম নোমান। তিনি বলেন, তাকে যৌথবাহিনী আটক করেছে। তবে এখনো তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
আটক এহেসান উল্লাহ কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলো। যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ আছে সে আ’লীগ নেতার হাত ধরে ছিনতাইকারী থেকে জনপ্রতিনিধি বনে যায়। এবং মেয়র মাহাবুবর রহমানের আস্তাভাজন ছিলো।
এহেসান উল্লাহর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত সদর থানায় দায়ের করা একাধিক মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি বলে জানা গেছে।
তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর একটি দল কাউন্সিলর এহেসান উল্লাহকে আটক করেছে। তাকে থানায় হস্তান্তরের জন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাকে বুঝে নেওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়করা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ আন্দোলন চলাকালে একাধিকবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। এছাড়া তিনি হামলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদও যোগান দিয়েছেন।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজার নামের একটি ফেসবুক ফেইজে বলা হয়, এহেসান উল্লাহ বহুল বিতর্কিত। তিনি কোটি টাকা খরচ করে সাবেক মেয়র মাহাবুবুর রহমানের সাথে আতাত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও মাদক কারবারীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে এহেসান উল্লাহ বেশ সমালোচিত। কক্সবাজারে ছাত্র আন্দোলনে তিনি অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগানদাতা। সাবেক মেয়র মাহাবুবুর রহমানের সাথে তিনি ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি ও হামলা চালায়। এছাড়া খুরুশকুলের শীর্ষ সন্ত্রাসী ২৬ মামলার আসামী মামুনের অন্যতম সঙ্গী এই এহেসান উল্লাহ। অবশেষে তিনি আইনের আওতায় আসায় যৌথবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সমন্বয়কেরা।