সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ কর্তৃক পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়। দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল ১০/১০/২৪ খ্রি. সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূজামণ্ডপে আসে এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকে। ইতোপূর্বে পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করে। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওইদিন রাত ৮:০০টার সময় শিল্পীগোষ্ঠীর ১। শহীদুল করিম (৪২), ২। মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৪), ৩। আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), ৪। রনি (২৮), ৫। গোলাম মোস্তফা (৩৬) ও ৬। মঘ
মোঃ মামুন (২৮) পূজার অনুষ্ঠানে আসে এবং একটি ইসলামিক গান ও একটি বাউল গান পরিবেশ করে। তন্মধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দচয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে প্রতীয়মান হয়। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা দুটি গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়াসহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনার সংবাদ পেয়ে চান্দগাঁও ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গান পরিবেশনকারী ১। শহীদুল করিম (৪২) ও ২। মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৪)-কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শহীদুল করিম (৪২) তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মোঃ নুরুল ইসলাম (৩৪ল দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক। উক্ত ঘটনায় জড়িত অপরাপর ব্যক্তিদের আটক অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য যে, সজল দত্ত ও গান পরিবেশনকারী ৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরী পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে।