ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আলীকদমে ছাত্র জনতার ব্যানারে ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সংবাদ দাতা  আলীকদম প্রতিনিধি: 
অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ২:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বান্দরবানের আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন অজুহাতে  আটকে রেখে টাকা নেওয়া ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে  ভুক্তভোগীরা

বুধবার  (১৬ অক্টোবর ) বিকালে আলীকদম প্রেসক্লাবের সামনে  সচেতন আলীকদমের জনসাধারণ ও ছাত্র জনতার ব্যানারে ভুক্তভোগীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এই সময় আলীকদম থানার ওসি খন্দকার  তৌহিদুর রহমান বিরুদ্ধে উপস্থিত জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে আলী জোহার নামের এক মোটর সাইকেল চালক বলেন, গত মার্চ মাসের ৩ তারিখ সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে গরু কেনার জন্য আলী জোহার পোয়ামুহুরী পাহাড়ি এলাকায় যান। দুইলাখ টাকার গরু কিনে উপজেলা সদরে আসলে তাকে নয়াপাড়ার মিঠার দোকান এলাকা থেকে থানায় ধরে নিয়ে যান থানার সাবেক উপ পরিদর্শক মামুন। দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে মাঝরাতে তাকে ওসির কক্ষে নিয়ে যান মামুন।  ওসি তৌহিদুর রহমান একটি লাঠি দিয়ে আমার পায়ের পাতাতে মারেন। চিৎকার করলে আরও বেশী মারেন। এভাবে ওসির রুমে তিন বার মারেন। ওসির নির্যাতন  থেকে  থেকে বাঁচতে পায়ে ধরলে,স্বজোরে লাথি মেরে পা ছাড়িয়ে নিয়েছে।  মানববন্ধনে কথা গুলো বলার সময় আলী জোহারের চোখ পানিতে টলমল করছিল।

আলী জোহার আরও বলেন, মারধর করার পর আমাকে একটি রুমে ফেলে রাখে। এক পর্যায় আমার বউয়ের বড় ভাই সাহাব উদ্দিন খবর পেয়ে আনতে গেলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আবারও ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর ছেড়ে দেন সাবেক এসআই মামুন।

আলী জোহার আরও বলেন,গরু কেনার ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫০০  টাকা  ওসি নিয়ে নেন। টাকা চাইলে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন বলে জানান।

আলী জোহারের শ্বশুর খোরশেদ আলম বলেন, আমার জামাই থেকে টাকা রেখে দেওয়ার ঘটনা জানার পর তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সবাইকে জানিয়েছি। তাছাড়া নিজে টাকা চাইতে গেলে ওসি আমাকে হুমকি দেন ও ধাক্কা দিয়েন অফিস থেকে বের করে দেন।

মানববন্ধনে গিয়াজ উদ্দিন নামের এক টেকনিশিয়ান বলেন, পোয়ামুহুরী ইসিবির গাড়ী ঠিক করে আসার সময় আমিসহ তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানা আটকে রেখে মামলার  ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে।

খুইল্লা মিয়া পাড়ার সর্দার ফরিদুল আলম ওসি ও এএসআই  জামানের বিরুদ্ধে  ৪ লক্ষ টাকা  উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন,বিষয়টি পুলিশের এক উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিলেও সমাধান করেননি।

এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য  মুঠোফোনে  কয়েকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এদিকে আলী জোহার অফিসার  ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আইজিপি ও পুলিশ সুপার বরাবর ২০ সেপ্টেম্বর  অভিযোগ পাঠানোর পরও প্রতিকার না পাওয়ায় মানববন্ধন করেছেন ভূক্তভোগীরা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।