পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চলমান ২২ দিনের অবরোধকে ঘিরে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর )সকাল ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশ, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত ইকোফিশ-২ এর আয়োজন করে। এসময় জেলে সম্প্রদায়, ব্লু-গার্ড, মিডিয়া কর্মী সহ প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান।
এসময় মা ইলিশ মাছের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরিপক্ক ইলিশ মাছ সর্বোচ্চ ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। সে হিসাবে আমাদের নদী, মোহনায় বা সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যায় না। সাগর দূষণ, ছেড়া জালের আধিক্য, জেলেদের অসচেতন, মোহনায় চর জাগা, নদীতে প্রাইমারি খাদ্যের অভাব, আমোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দিনের পর দিন ইলিশ সহ অনান্য মাছের পরিমাণ কমতেছে। ইলিশ বাংলাদেশের ভৌগোলিক পন্য। আসুন সবাই মিলে এই সম্পদ রক্ষা করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকোফিশ-২ এর গবেষণা সহকারী মো.বখতিয়ার রহমান, পরিবেশ কর্মী কেএম বাচ্চু,টিএমএসএস ফিল্ড ফ্যাসিলিটর আবুল বাশার। মা ইলিশ রক্ষা উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন মাছ ঘাট ও উপজেলায় মাইকিং করা হয়।
সচেতনামূলক এই সভার বিষয়ে জানতে চাইলে সমুদ্রের নীল অর্থনীতি উপকূলের পরিবেশ প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিসের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, চলমান ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার যে অভিযান এ উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম এর সাথে ইকোফিশ একাত্মতা ঘোষণা করছে। মা ইলিশ রক্ষায় এ অভিযানকে কেন্দ্র করে আমরা ১ হাজারের মতো পোস্টার আলিপুর, মহিপুর এবং কুয়াকাটার মাছ ঘাট গুলোতে দিয়েছি যাতে করে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, মা ইলিশ রক্ষা করা যে কতটা গুরুত্বপূর্ন সেটা যাতে জেলেরা বুঝতে পারে এবং এদেশের সম্পদটা বাড়ানোর জন্য তারা সচেষ্ট থাকে। ###