সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রি হচ্ছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাট- বাজার গুলোতে। চাহিদার তুলনায় সরবারাহ কম থাকায় ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসছে না। এমনটাই বললেন তাড়াশ পৌর বাজারের ডিম ব্যবসায়ি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া। এ দিকে ডিমের সরবরাহ কম ও দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ডিম ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সোহাগ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার তাড়াশ উপজেলার বৃহত্তর নওগাঁ হাট, বারুহাঁস, বিনসাড়া, রানীর হাট, বোয়ালিয়া, ধামাইচ ও গুল্টা হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, যা নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৩ টাকা বেশি।
অথচ নতুন ঘোষিত দর অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা—অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
ডিম বেশি দামে বিক্রি হওয়ার বিষয়ে
উপজেলার বৃহত্তর নওগাঁ হাটের ডিম ব্যবসায়ি মো. মজিবর মন্ডল জানান,
আমরা পাইকরি ডিম ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ টাকা করে। খুচরা ব্যবসায়ীরা এ ডিম কিনে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে তো আমরা কিনতেও পারি না।’
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, তাড়াশে চাহিদার তুলনায় ডিম বেশি উৎপাদন হয়। কিন্তু অসাধু ডিম ব্যবসায়িরা ঢাকার সিন্ডেকেটর সাথে তালমিলাচ্ছেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। তবে দ্রুতই ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
।