পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় “দানা” এ পরিণত হয়েছে। এটি আজ সকাল ০৬ টায় (২৩ অক্টোবর ২০২৪) পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। গত কালের চেয়ে আজ পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ০১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত সরিয়ে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
মহিপুর মৎস আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, নদ নদী ও সাগরে ২২ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। বর্তমানে তা বলবৎ আছে। তাই সব ট্রলারই মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নেওয়া আছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, আগামীকাল সকাল থেকে ভারী বর্ষণ,বাতাস ও সাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে।