পটুয়নখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্রের স্রোতে ভেসে আসা ৩টি মহিষ মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ-পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) শেষ বিকেলে যাচাই বাছাই শেষে মহিষের প্রকৃত মালিক রাঙ্গবালী উপজেলার কবির প্যাদার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নৌ পুলিশ জানান, গত ১৮ অক্টোবর ২টি এবং ১৯ অক্টোবর ১টি মহিষ সমুদ্রের স্রোতে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় ভেসে আসে।
মহিষ ৩টি স্হানীয় জেলে মো.বাদল মিয়া ও বাবুল আকন সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের অবগত করলে নৌ পুলিশ তাদেরকে নিজ দ্বায়িত্বে লালন পালন করার জন্য বলেন। প্রকৃত মালিক পাওয়া গেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মহিষ ৩টি উদ্বারকারী দুই জেলে পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলে এবং তারা পরিচর্যা করে।
কুয়াকাট সৈকতে মহিষ ভেসে এসেছে গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে মহিষের প্রকৃত মালিক রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালি গ্রামের কবির প্যাদা খবর পেয়ে কুয়াকাটায় ছুটে আসে।
যাছাই বাছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে কবির প্যাদার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহিষের মালিক মো.কবির প্যাদা জানান, আমার ৩৯ টি মহিষ একটি চরে ছিলো। পূর্নিমার জো’য়ের প্রভাবে সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরটি তলিয়ে যায়। এ সময় ৬টি মহিষ স্রোতে ভেসে গেছে। ৩টির সন্ধান পেলেও বাকি ৩টির সন্ধান এখনো পাইনি। এবিষয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
তিনি বলেন, যারা আমার মহিষ ৩টি লালন-পালন করেছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মহিষ লালন পালনকারী বাদল মিয়া বলেন, নৌ পুলিশ প্রকৃত মালিক সনাক্ত করেছেন। তাদের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছি,তারা আমাদের লালন-পালন ও চিকিৎসা খরচ প্রদান করেছেন।
নৌ-পুলিশ ইনচার্জ মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাঙাবালী থানার সাধারণ ডায়রী ও মালিকের তথ্য যাচাই-বাছাই করে মহিষ ৩টি হস্তান্তর করা হয়েছে। ###