চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা এলাকার জুট ব্যবসায়ী মো. বখতেয়ার (৬২) এর ট্রাকভর্তি প্রায় ১৪ লাখ টাকা মূল্যের পোশাক লুট করে নেয় তানভির ইসলাম তাসিন (২২),জাকির হোসেন মিশু(২৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা দুই ডাকাত ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বায়েজিদ থানা এলাকার আমিন জুট মিলের বিপরীতে আমিরবাগ আবাসিক এলাকার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বখতেয়ার এই ঘটনায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বখতেয়ার এর কাছে জানতে চাইলে বখতেয়ার লুটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘অল্প বয়সী ছেলেরা ভুল করে এই কাজ করছিলো। আমার মালামাল আমি বুঝে পেয়েছি।’
এই ঘটনায় বায়েজিদ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় তানভীর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলায় উল্লেখিত আসামীদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় লুট করা মালামাল উদ্ধার করার বিষয়ে জানতে চাইলে এখনও পর্যন্ত কোনো কিছুই উদ্ধার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।’
১৪ লাখ টাকার লুট হওয়া পণ্যের জন্য মামলা করেও প্রতিবেদকের কাছে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আড়ালে ডাকাতির ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় উশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করে চাদাবাজির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তানভীর(২২) ও জাকির হোসেন মিশুর (২৫) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত জাকির হোসেন মিশু(২৫) বায়েজিদ থানার একাধিক মামলার আসামী। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বাদী বখতেয়ারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম রাশেদ খানের কাছে ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত তানভীর এবং জাকির হোসেন মিশু’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই নামে তাদের কোনো কর্মী কিংবা তালিকাভুক্ত ছাত্রনেতা নেই। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কোনো নেতাকর্মী এমন শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে পারলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বহিস্কার করা হবে।”