মিয়ানমারের আরকানের মন্ডু শহরের চলমান যুদ্ধে বেসামাল হযে বাংলাদেশে পাড়ি দিতে জড়ো হয়েছে সীমান্তের ৪৬, ৪৭,৪৮ ও ৪৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশের ওপারে। যারা গত ৪ দিন ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্যে জড়ো হয়েছে সীমান্তের এ পয়েন্টে। তারা যে কোন সময় দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে মরিয়া। আবার অনেকে বলেছেন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে সিএনজি যোগে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাস্পে চলে গেছে।
সোমবার ( ৪ নভেস্বর) সীমান্তের ৪৬ নম্বর থেকে ৪৯ নম্বর পিলার এলাকার খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সীমান্তের অধিবাসী আবদুর রহিম,গুরা মিয়া ও আবু ছিদ্দিক জানান,তারা ৩/৪ দিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দৌছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে বিজিবি সতর্কাবস্থানে থাকতে দেখে তারা জানতে পারেন আরকান অংশে ৮৫ জন রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্যে। এ কারণে ১১ বিজিবির ফুলতলী ক্যাম্প,জামছড়ি ক্যাম্প, ভাল্লুকখাইয়া ক্যাম্প ও জারুলিয়াছড়ি ক্যাম্পের জোয়ানদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিজিবি সদস্য এখন সীমান্ত সড়কের আশপাশে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। তারা কঠোর অবস্থানে টহল দিচ্ছে,যেন কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
স্থানীয় একজন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার আশংকায় বিজিবির টহল বাড়ানোর খবর সঠিক। তবে দালালরা সক্রিয় থাকায় দুর্গম পথ দিয়ে
তারা যে কোন সময় অনুপ্রবেশের আশংকা করছেন তিনি। বিগত দিনে এমন করে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জারা সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলায় বর্তমানে বসবাস করছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেলের সাথে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য নেয়ার চেষ্ঠা করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়ারসম্ভ হয় নি।