এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন দিবসে কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে রাবনাবাদ চ্যানেলে নৌ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।নৌ-র্যালীর মাধ্যমে দ্রুত, ন্যায্য এবং সমতার ভিত্তিতে গ্যাসসহ সকল জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধের দাবী জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল দশ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), আমরা কলাপাড়া বাসী এবং ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ এর যৌথউদ্যোগে এই নৌ-র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে নদী তীরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। নৌ র্যালীতে বক্তব্য রাখেন, ওয়াটারকিপার্সের কলাপাড়া সমন্বয়ক মেজবাহউদ্দিন মাননু, আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, সংগঠক কামাল হাসান রনি ও জেলে জহিরুল ইসলাম।
বক্তারা জানান, এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন জীবাশ্ম জ্বালানির, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানানো হবে।
ওয়াটারকিপার্সের কলাপাড়ার সমন্বয়ক মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৩২০ মেগাওয়াট চালু করা হয়েছে। আরও ১৩২০ মেগাওয়াট একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি একটি গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কলাপাড়ায় এই ধানখালী ইউনিয়নে করার জন্য পরিকল্পনা করছে। সেই সাথে গ্যাস আমদানির জন্য পায়রা বন্দর একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমরা এই র্যালী থেকে দাবি জানাতে চাই যত দ্রুত সম্ভব এ সকল প্রকল্পর কাজ বন্ধ করতে হবে।”
বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অংশীজনদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নৌ-র্যালীতে অংশগ্রহণকারী জেলে, সাধারণ মানুষ ও পরিবেশ কর্মীরা “গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর”, “প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর”, “গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি”, “জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট”,”কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর” এমন দাবি সংবলিত স্লোগান দেন।###