শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেছে ছাত্র-জনতা। এসময় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের। সকাল থেকেই তারা এখানে টহলরত রয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে সকাল থেকে নূর হোসেন চত্বর ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি চলছে। পল্টন ও শাহবাগ যুবদল পরিচয়ে এসময় একটি বড় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে এই এলাকায়। এসময় তাদের ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গুম খুনের অপরাধে খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। সাড়ে ১০টার দিকে তারা আবার সেখান থেকে চলে যান।
সকালে আন্দোলনে আসা কয়েকজনকে এসময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করছে না। তবে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে এদিন বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতা-কর্মীদের জড়ো হয়ে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, সরকার আওয়ামী লীগকে রোববার কোনো জমায়েত বা মিছিল করতে দেবে না। কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর অবস্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
এব্যাপারে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে এদিন দুপুর ১২টায় ঢাকায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত’ শিরোনামে কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে তারা। রাত থেকেই সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা সেখানে অবস্থান নিতে শুরু করেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নূর হোসেন চত্বরে দেখা যায়, সেখানে বেশ কয়েকজন উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছে। এসময় বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। তবে যান চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
নূর হোসেন চত্বরে যেসব সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র ফোরাম, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় গণফ্রন্ট, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, জাতীয় গণফ্রন্ট।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত