আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ছাত্রবৃন্দ, মিডিয়ার প্রতিনিধি, এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গিকারনামা স্বাক্ষর ও প্রচার কর্মসূচীর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। ইউএসএআইডি (USAID) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (IRI)-এর আর্থিক সহায়তায় “নাগরিক” প্রকল্পের আওতায় ‘রূপসা’ একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, বিভাগীয় সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচার ও শান্তি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রূপসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল এবং সঞ্চালনা করেন শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক, প্রোগ্রাম, রূপসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইফতেখার কায়সার, মনিটরিং কো-অর্ডিনেটর, আইআরআই, বাংলাদেশ। প্যানেল আলোচনায় অংশনেন জনাব বোরহান উদ্দিন মোহম্মদ আবু আহসান, পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম বিভাগ, নেয়ামত উল্লাহ, উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ফেনী জেলা আশরাফুজ্জামান, উপ-পরিচালক, ইমাম প্রশিক্ষন চট্টগ্রাম জেলা, ফাদার গরডন ডায়াস, পেরিষ্ট, পাথরঘাটা ক্যাথলিক চার্চ,চট্টগ্রাম, সংঘনন্দ মহাথেরো সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা, চট্টগ্রাম এবং মাওলানা মনসুরুল হক খতিব পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম। সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশকে আমরা সকলে মিলে এমন একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এবং নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠিত হবে। সামাজিকভাবে যেকোন অন্যায় মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। প্রতিনিধিবৃন্দ আরও বলেন, এই উদ্যোগটি দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ ধরণের উদ্যোগ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ধারবাহিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলে পরামর্শ প্রদান করেন। সম্মেলনে ধর্মীয়নেতৃবৃন্দ সকল অংশগ্রহনকারীর সামনে শান্তি অঙ্গিকারনামা পাঠ করেন, যা শান্তি, সম্প্রীতি, সহনশীলতার প্রতি এবং যে কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।