সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুল খতিয়ানে জমি না থাকলেও ভূমি উন্নয়ন কর নিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভুমির মূল মালিক আবুল হোসেন ফকির। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ভুমি কার্যালয়ে।
এ বিষয়ে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানকারীর হোল্ডিং বাতিল চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মূল মালিক ওই ইউনিয়নের ভাদাশ গ্রামের আবুল হোসেন ফকির।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদাশ গ্রামের মূল মালিক ইমান আলী ফকির এর নিকট থেকে ১৯৮৫ সালে ২০২০ নং দলিল মূলে মহরম আলী ক্রয় সূত্রে মালিক হন। পরে মহরম আলী ২০২০ নম্বর দলিলমূলে ওই একই গ্রামের আবুল হোসেন ফকিরের নিকট ১৯৯৪ সালে বিক্রয় করেন। তাঁর দলিল নম্বর ৫৭১৯। এ দিকে আর এস রের্কডে ভ‚ল বশতঃ মহরম আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের নাম দেখা যায়। এর প্রেক্ষিতে ওই ভুমির ক্রয়সূত্রে মালিক আবুল হোসেন আর এস রের্কড সাংশোনীর জন্য সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ তাড়াশ থানা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৭/২০১৬। পরবর্তিতে বিজ্ঞ আদালত দলিলপত্রাদি পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই করে রেকর্ড সাংশোধন করেন। সংশোধনী রেকর্ড মূলে আবুল হোসেন নামজারির আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাড়াশ উপজেলা সহকারী ভ‚মি কার্য়ালয় তাকে ওই জোতের নামজারী দেন। পরে আবুল হোসেন মাধাইনগর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে ৮৪৬ নং হিসাবে ২০১৫ সাল হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে ভোগদখল করছেন। কিন্তু মুল খতিয়ানে আব্দুর রশিদের নামে কোন সম্পত্তি না থাকলেও গত ৬ জুন’২০২৪ তারিখে মাধাইনগর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম যোগসাজশ করে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহন করেন। আর এতেই বিড়ম্বনায় পড়েন ভুমির মূল মালিক আবুল হোসেন ফকির।
এ ব্যাপারে আবুল হোসেন ফকির বলেন, আমার সমস্ত দলিলপত্রাদি সঠিক থাকা সত্বেও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আব্দুর রশিদের নামে অবৈধ ভাবে ভূমি উন্নয়ন কর নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মাধাইনগর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই জমির দলিলপত্রাদি যাচাই করে আব্দুর রশিদের ভুমি উন্নয়ন করের চেক ও হোল্ডিং বাতিল করা হয়েছে।