নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে সীমান্ত ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে চোরাকারবারিদের হাতে এক যুবককে খুন হয়েছে। নিহত সাহাব উদ্দিন ৩০ কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন তিতার পাড়া গ্রামের এমদাদ মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে
শনিবার (৩০ নভেম্বার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে। এ ঘটনায় তার স্বজনরা পুলিশ হ্যালপ লাইন ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর  হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

এসময় পুলিশ ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহে আনছারুল্লাহ নামের এক জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
স্থানীয় সূত্রে জানায়,শনিবার রাত  সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের শুকমনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পিতা এমদাদ মিয়া জানান শাহাবুদ্দীনকে নয়ন নামের এক যুবক বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায় শুকমুনি ওই সড়কে। কিছুক্ষণ পর শোনেন তার ছেলেকে একদল  চোরাকারবারি  সন্ত্রাসী কায়দায় এলোপাতাড়ি কোপিয় খুন করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঘটনাস্থলে
সন্ত্রাসী কর্তৃক এক রাউন্ড গুলির শব্দও  শুনতে পাই তবে কে বা কারা গুলি করেছে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে  জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি  ব্যবসায়ীক কেন্দ্রিক দাবি একাধিক সূত্রে নিশ্চিত করেছে।
রবিবার সকালে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) এস, আই রাজস্ব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজনকে আটক করেছে। বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বালুবাস গ্ৰামের ছুরুত আলমসহ অনেকে বলেন ভিন্ন কথা! সীমান্ত ব্যবসায়ী জহিরের ছেলে রিমন টাকা নিয়ে আসার পথে তার কাছ থেকে অস্ত্র দিয়ে টাকা ছিনতাই কালে ঘটনা সূত্রপাত হয়। এসময় রিমনও গুরুত্ব আহত হয়।
এ ঘটনায় ইউনিয়নের তিতর পাড়া ও বালুবাসা গ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, বিষয়টি ব্যবসায়ী কেন্দ্রিক বলে প্রাথমিক নিশ্চিত হওয়া গেছে ময়নাতদ না আসা পর্যন্ত আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
সংবাদ প্রেরক মোহাম্মদ ইউনুছ, মোবাইল নম্বর, ০১৮১৫৩৩৫০১৩