ঢাকারবিবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চৌদ্দগ্রামে মাছ, মাংস সহ শীতের সবজির বাজারও গরম!

আলী হোসেন লিটন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা।
ডিসেম্বর ১, ২০২৪ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চাহিদা-জোগানের মারপ্যাঁচে ওঠানামা করছে শীতের সবজির দাম। বাজারে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। আর সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৪৫০-৫৫০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম।
দেশের ইলিশের বাজার এখন অস্থির। তারই ধারাবাহিকতায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৪৫০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩১০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা হারে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৯০০-১১০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মাছ না আসায় দাম বাড়ছে। ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে যাচ্ছে। উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরবাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। দিন দিন ইলিশের দাম ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে কমছে বিক্রিও।
আর ক্রেতারা বলছেন, দিনকে দিন যেভাবে দাম বাড়ছে ইলিশের, তাতে ইলিশ কেনাই দুরূহ হয়ে পড়বে। নোয়াপাড়া গ্রামের আহসান নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহেও ইলিশের কেজি ছিল ১৭০০-১৮০০ টাকা। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়লে ইলিশ কেনাই মুশকিল।
কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে অন্যান্য মাছের দামও। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
এদিকে বাজারে উঠে গেছে প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজিই। শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন প্রায় সব দোকানিই। কিন্তু চাহিদা-জোগানের অজুহাত দিয়ে প্রতি সপ্তাহেই বাজারে ওঠানামা করছে দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজি এখনও বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসছে না। এতে দাম ওঠানামা করছে। হাঁড়িসর্দ্দার বাজারের সবজি বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে এখন সবজির দাম ওঠানামা করছে। এক সপ্তাহ কমলে, পরের সপ্তাহে বাড়ে। মূলত সরবরাহ কম-বেশির কারণে দামের এই ওঠানামা।
আর চৌদ্দগ্রামের পৌরবাজারের সবজি বিক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও কোনটিতে আবার বেড়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহেই দাম ওঠানামা করছে। পুরোদমে শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত বাজারে এই অস্থিরতা থাকবেই।
তবে ক্রেতাদের দাবি, শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও দাম কমছে না আশানুরূপভাবে। উত্তর শ্রীপুরের আজাদ মজুমদার নামে এক ক্রেতা বলেন, শীতকালীন সবজিতে বাজার ভর্তি। তবুও নাগালে আসছে দাম। বাজারে কারসাজি চলছে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭৫-৮৫ টাকা, করলা ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০-৭০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।

বাজারে লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫–৮৫ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এতে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই কমেছে দাম।
এদিকে, সোনালি, ব্রয়লার মুরগির দামসহ অন্যান্য মাংস ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
পৌরসভার চৌদ্দগ্রাম পৌরবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী পারভেজ বলেন, বাজারে মুরগীর সরবরাহ বেড়েছে। এতে ধীরে ধীরে দাম কমতেছে। তবে ইতোমধ্যে বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায়, দাম কতদিন কম থাকবে বলা যাচ্ছে না। চাহিদা বাড়লে দামও বেড়ে যেতে পারে।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
আর বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৫২ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৫০-২৫৫ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।
আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।