//অস্ত্র উদ্ধারে নতুন মাত্রা, শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম উঠে এলো।
বাংলাদেশের একমাত্র কিংবদন্তী পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে বড় সাফল্য এসেছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকা থেকে ভারী অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ (২৫)। তার কাছ থেকে একটি থ্রি-জি রাইফেলসহ মোট চারটি অস্ত্র, নয় রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে নিজস্ব সোর্স নিয়োগ করে আসছিল পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়।
আভিযানিক টিম সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদের নেতৃত্বে গঠিত পুলিশের একটি দল রবিবার দিবাগত রাতে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ নামে সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করেছে। দুই ঘন্টাব্যাপী অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সাজ্জাদকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধারণা, সাজ্জাদ স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী দলের সক্রিয় সদস্য এবং মহেশখালীতে বিভিন্ন জায়গায় চিংড়ির ঘের দখল-বেদখলসহ সন্ত্রাসী কাজে জড়িত ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সে মকছুদ মিয়া , আমান ও ছাবের বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল।
বড় ডেইলের সম্প্রতি ঘটে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ঘিরে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এই অস্ত্র ব্যবসার পেছনে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি চক্র জড়িত।
গত ২৯ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বড় ডেইল মসজিদের সামনে খেলার মাঠের এক কোণে খুনের আসামী মকছুদ মিয়া ও নাছির উদ্দিন ডাইলা স্থানীয় অস্ত্র বিক্রেতা রবিউলের সাথে অস্ত্র ক্রয়ের বিষয়ে আলোচনা করে। এই আলোচনায় প্রায় ২০-২৫ মিনিট সময় ব্যয় হয়। গোপন সূত্র থেকে জানা যায়, অস্ত্র ক্রয়ের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন নাছির উদ্দিন ডাইলা এবং তার ছেলে ইয়াবা গডফাদার জসিম উদ্দিন নাহিদ।
জসিম উদ্দিন নাহিদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার এবং ডিবি হারুনের ব্যবসায়িক পার্টনার বলে জানা যায়। তিনি নির্বিচারে মানুষ হত্যার জন্য মকছুদ মিয়া ও তার দলকে অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে হস্তান্তর করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া যারা অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।