রাজশাহীর পবা থানার রামচন্দ্রপুর ডাঙ্গিরপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি এই বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্পত্তির বৈধ মালিকানা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষগণ বেআইনি দখলের হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করে বাদী মোঃ নাইদুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীর মা মোসাঃ নাজমা বেগম ২০০৭ সালে পবা থানার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সম্পত্তি বণ্টনের জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট চূড়ান্ত রায়ে তিনি নালিশি সম্পত্তির মালিকানা পান। এরপর তিনি নিয়ম অনুযায়ী নামজারী ও খাজনা প্রদান করে সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলেন।
তবে সম্প্রতি প্রতিপক্ষ মোঃ কামরুল, মোঃ ইয়াসিন, মোঃ দ্বীন ইসলাম, বাওয়া কালাম, মোঃ জয়নাল উদ্দিন, মোঃ জলিল উদ্দিন, মোঃ আলাল উদ্দিন এবং মোঃ মোশারফ হোসেন, নালিশি সম্পত্তি বেআইনি দখলের হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষগণ নালিশি সম্পত্তিতে বেআইনি প্রবেশের চেষ্টা করে এবং সেখানে নির্মিত ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। তারা ঘোষণা দেয়, এই সম্পত্তি দখল করে নিজেদের নামে লিখিয়ে নেবে এবং সেখানে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করবে। প্রতিপক্ষদের এমন হুমকি বাদী ও তার মায়ের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে।
বাদী আদালতের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন। তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, প্রতিপক্ষ যেন নালিশি সম্পত্তিতে প্রবেশ, কোনো স্থাপনা ভাঙা বা নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে। তদুপরি, বাদী ও তার মাকে সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার যে আশঙ্কা রয়েছে, তা থেকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
এই জমি সংক্রান্ত বিরোধ ইতোমধ্যেই স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এই বিরোধকে অগ্রাহ্য করতে পারছে না এবং পরিস্থিতি যেকোনো সময় উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। তারা দ্রুত এই সমস্যার আইনি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বাদী পক্ষের মতে, তাদের বৈধ অধিকার থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের বেআইনি কার্যকলাপ তাদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই তারা আইন ও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলে অভিযুক্তরা গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান- আদালত থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
