পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে শিববাড়িয়া নদীর দখল দূষণ এবং বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক উপকারভোগীদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম। পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির।
শিববাড়িয়া নদীর সমস্যা ও বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন।
এক সময়ে ১২০ মিটার প্রশস্ত শিব বাড়িয়া নদীটি দখল দূষণে বর্তমানে ২০-৩০ মিটারে এসে নেমেছে। এ নদীর দুই তীরে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের কয়েকশ ব্যবসায়ী তাদের মৎস্য বর্জ্য নদীতে ফেলছে। এছাড়া নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে শত শত পাকা স্থাপনা। এ কারনে নদীর প্রবেশ পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাটার সময় ট্রলার চলাচল করতে পারছে না। তাই এ নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে সরকারি সহায়তা কামনা করেন নদী তীরের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা।
সভায় অংশগ্রহণকারী উপকারভোগীরা বলেন, এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর পাড় পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ সহ নদী মোহনা খনন করে পানি প্রবাহ সচল রাখার আহবান জানান।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, নদীর উপকারভোগিরাই নদীর পার দখল করছে। পলিথিন ও বর্জ ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে ক্ষতি উপকারভোগীদেরই।
নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি ৯ মাসে অর্ধশত বদ্ধ খালের বাঁধ কেটে পানি প্রবাহ সচল করেছেন।
এসময় তিনি নদী দখল রোধে অংশীজন ও সুধীজনদের নিয়ে একটি কমিটি করার আহবান জানান। কমিটি গঠন হলে এলাকা ভিত্তিক দখল দূষণ রোধে ওই কমিটি কাজ করবে। এতে দখল দূষণ হবে বলে তিনি জানান। ###
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত