ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মুয়াজ্জিনের ফতোয়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় ভাংচুর করা হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। বাড়িতে দেওয়া হয়েছে আগুন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলার সাতগাছী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতগাছী গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে গান বাজানোয় শুক্রবার জুম্মার নামাজে গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাকিম মোল্লা গান-বাজনা বাজানো হারাম বলে ফতোয়া দেওয়ার সময় কাশেম মোল্লা বাঁধা দেয়। সেসময় মসজিদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে বিকেলে হাকিম মোল্লা ও কাশেম মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়।তাদের অনেককেই শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এরই জের ধরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়িতে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সসময় ভাংচুর করা হয় স্বামীহার গৃহবধু অন্তরা খাতুনের বাড়ীঘর,এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তার বর্তমান সংসার।১৪ বছরের ছেলেটি ভ্যান চালিয়ে রোজগার করেন।তাদের দাবী তারা কোনো দলাদীর সাথে পাছে নেই তবুও কেন এই অত্যাচার।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুম খান জানান, হুজুরের ফতুয়া দেওয়া কে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রাম বাসীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহীনি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় সেনা বাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।