//চোর সিন্ডিকেটের অনেকেই অধরা
কক্সবাজার শহরে গাড়ি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে পুলিশের অভিযানে গাড়ি চোর চক্রের মূল হোতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শহরের ইউনিয়ন হাসপাতালের সামনে থেকে সে জনতার হাতে আটক হয়। এবং রাত ১১ টার পরে এস আই হাবিবের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে যায়।
তাকে ছাড়িয়ে আনতে তার চক্রের একটি টিম বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালায় পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা উক্ত স্থান থেকে সরে যায়। তার মামা শশুর পরিচয়ে একজন মামুন নামে ব্যক্তি তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। এমনকি হাসপাতালের সামনে জনতার কাছ থেকে চিনিয়ে নিতেও তার নের্তৃত্বে একটি চোর চক্রের একটি টিম চেষ্টা চালালেও পরে ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের ইউনিয়ন হাসপাতালের সামনে একটি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের সেলেটু (ঢাকা মেট্রো – ৫০৭২৬৮) গাড়ি চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগেও একই স্থান থেকে ২০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় র্যাডিয়েন্ট ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার করিম আহমেদ চৌধুরীর একটি টিভিএস স্ট্রাইকার (ঢাকা মেট্রো হ ৫০৪৯৪১) ১২৫ সিসি মডেলের মোটরসাইকেল চুরি হয়। এছাড়াও ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখের সন্ধ্যা ৬:৩০ টার দিকে হেলথ কেয়ারের এরিয়া ম্যানেজার বাহাদুরের ১১০ সিসির হোন্ডা ব্র্যান্ডের (ঢাকা মেট্রো হ ৫৭১০৩১) সিরিয়ালের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে রুবেলকে শনাক্ত করে।
আটককৃত চোর চক্রের রুবেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, চুরি হওয়া গাড়িটি চালিয়ে চক্রের মূল হোতা রুবেল গাড়িটি তাসফিককে নিয়ে চালিয়ে জেলা পরিষদের এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তার সহযোগী তাসফিক আহমেদ চৌধুরী গাড়িটি নিয়ে খুটাখালী পর্যন্ত যায়। উক্ত স্থানে রুবেলকে ৫৫০০ টাকা দিয়ে তাসফিক নামে ব্যক্তিটি গাড়িটি চালিয়ে বাশখালী চলে যায়।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, রুবেল খুরুশকুল পালপাড়ায় রুবেল একটি গাড়ির গ্যারেজের মালিক। সে উক্ত গ্যারেজে বিভিন্ন বাইক, সিএনজি, ডাম্পার সহ নানা গাড়ি চুরি করে তা বিভিন্নভাবে রঙ সহ চেসিস নং পরিবর্তন করে তা বিভিন্ন পার্টিদের মধ্যে বিক্রি করে দেয়।
গ্যারেজের মালিকের পাশাপাশি সে বিভিন্ন মেকানিকের দোকানে দক্ষ কারিগর হিসেবে ভাড়ায় কাজ করে । এছাড়া সে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামতের পাশাপাশি গাড়ি চুরিতেও দক্ষ। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, রুবেল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চুরি করে আসছিল।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, রুবেল একটি বড় গাড়ি চোর চক্রের সাথে যুক্ত ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারসহ আশপাশের এলাকায় সক্রিয় ছিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় আটক করা হয়েছে এবং তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্যে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং একটি উক্ত চক্রের বিরুদ্ধে মামলার এজেহার পেয়েছি।
কক্সবাজারে গাড়ি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা। পুলিশের এই অভিযানে গাড়ি চোর চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা গেলেও, এখনও অনেক অজানা তথ্য রয়ে গেছে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন এখনও গাড়ি উদ্ধার ও তার চক্র এর সদস্যদের বের করতে পারেনি বলে জানান মামলার বাদী সাজ্জাদ। পুলিশকে আরও তদন্ত করে এই চক্রের সকল সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে হবে।