মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে ইউপি সদস্য,ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার এক সমর্থক নিহত হয়েছে।এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় সেনাবাহিনী সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নের খাশেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধী চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন আকতার মেম্বারের ঘর জ্বালিয়ে দেয়।গভীর রাতে আকতার মেম্বার তার বাড়ি আসলে সুমন চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধাওয়া করে।পরে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে।এসময় উভয় পক্ষ শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।পরে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ইউপি সদস্য আকতারকে ধাওয়া করে খুন করে প্রতিপক্ষ।নিহত ইউপি সদস্য আকতার হোসেন(৪২) খুনেরচর গ্রামের মতি শিকদারের ছেলে।এ সময় তার ছেলে মারুফ শিকদার ( ১৮) ও তার সমর্থক খুনেরচর এলাকার রশীদ চৌকিদারের ছেলে সিরাজুল চৌকিদার(৩০) নিহত হন । মারুফ শিকদার শরীয়তপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০।

নিহত আক্তার মেম্বারের বাবা বলেন,"যারা আমার ছেলে ও নাতিকে খুন করেছে আমি তাদের বিচার চাই।"

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাংগীর আলম জানান,"আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ইউপি সদস্য সহ তিন জন নিহতের খবর পেয়েছি। নিরাপত্তার জন্য এলাকায় সেনাবাহিনী সহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও দোষীদের ধরতে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।তবে প্রয়োজন হলে এখানে জরুরী অবস্থা জারি করা হবে।আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।