মাদারীপুরের কালকিনিতে তিনজন খুনের ঘটনায় বাশঁগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে প্রধান আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে নিহতদের পরিবার।
রবিবার(২৯ ডিসেম্বর)রাতে কালকিনি থানায় এসে নিহত ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার নিহতের ঘটনায় আক্তার শিকদারের পিতা মতিউর রহমান শিকদার বাদী হয়ে একটি এবং নিহত সিরাজুল চৌকিদারের পিতা রশীদ চৌকিদার বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করেন।
উভয় মামলায় বাশঁগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
এছাড়া সিরাজুল চৌকিদার হত্যার ঘটনায় সুমন চেয়ারম্যান সহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করা হয়।
আর ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদার হত্যার ঘটনায় অপর আরেকটি মামলায় বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় অভিযোগ দাখিল করে নিহতের পরিবার।
অবশেষে কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একসাথে তিনজনকে হত্যার ঘটনার প্রায় ৬০ ঘন্টা পর দায়েরকৃত দুটি হত্যা মামলায় মোট ৯৮ জনের নাম উল্লেখ এবং প্রায় দেড় শতাধিক জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নুরুল আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
ইউপি সদস্য সহ তিনজন হত্যাকান্ডের ঘটনায় রবিবার রাতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ হতে দুটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ সহ যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের লোকজনের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার,তার ছেলে মারুফ শিকদার ও তার সমর্থক সিরাজুল চৌকিদার খুন হন।এ ঘটনায় আহত হন আরো অন্তত ২০ জন।