ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন

ঝিনাইদহে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থী খুনী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বদরুল আলম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২, ২০২৫ ৯:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থী খুনী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে ঝিনাইদহ জেলার উলামা মাশায়েখ ও শুরায়ী নেজামের তাবলীগ এর সাথীরা জেলা মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন , টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে গত ০৪ নভেম্বর ২০২৪ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ইজতেমার মাঠ প্রকৃত ও প্যান্ডেল তৈরীর কাজে উলামায়ে কেরামসহ দাওয়াত ও তবলীগের প্রায় সহস্রাধিক সাথী ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। সারাদিনের পরিশ্রম শেষে সাথীরা যখন ক্লান্ত-শ্রান্ত, ঘুমন্ত, তাহাজ্জুদ নামাজরত ছিলেন, তখন রাত ৩৪৫ মিনিটের সময় সাদপন্থী খুনী সন্ত্রাসী ওয়াসিফ গং সারাদেশ থেকে তার আহবানে জড়ো হওয়া তাবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনী ময়দানের গেট ভেঙ্গে ছুরি, রামদা, বাশের লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে সরাসারি আক্রমন করে। এতে আমাদের ৪ জন ভাই শহীদ হন। এদের একজনকে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং আরেক জনকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত  করে হত্যা করা হয়। কয়েকশ সাথীকে আহত করা হয় যাদের অনেকে মারাত্মক যখম হন,অনেক সাথী আই.সি.ইউ তে চিকিৎসাধীন আছেন, ৩৬ জনকে গুম করা হয়। এমন কি তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত সাথীদের উপরও বর্বরোচিত হামলা চালায়। এই খুনীদের দোসর যারা ঐ রাতে ঝিনাইদহ থেকে টঙ্গীর ময়দানে গিয়ে খুনীদের সহযোগিতা করেছে তাদেরকে চিনে রাখুন। তারা হলেন ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের ডাঃ আব্দুর রউফের নেতৃত্বে ওজোপাডিকোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, কে.সি কলেজের অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক শাহীনুর ইসলাম, ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ওলিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ শহরের আতিকুল ইসলাম, রফিকদাদ রেজা, টিএন্ডটি সালাম, হাসান, ইব্রাহিম তুহিন, তুষার, আহাদ, টেলি খোকন, আব্দুস সবুর, মোজাম্মেল, শফি, আবু জাফর লিটন, আবু জাফর আমি, সেলিম বাশার, ফ্রিজ রাকিব, মহেশপুরের ভাটা মিজান, খোকন, আব্দুল কাদের, জসিম, কোটচাঁদপুরের আব্দুল জব্বার,

ইছহাক, শাহাবুদ্দিন, আমিরুল মৎস্য, আমিরুল ব্যাংকার, কালীগঞ্জের গোলাম রহমান, শহিদুল, ড্রাইভার জামির, প্রফেসর জামান, বদিউজ্জামান, শিমুল, সেলিম, ইজিবাইক মামুন, হাবিবুর রহমান উজ্জল, কসমেটিক্স ইলিয়াস, মাষ্টার শুকুর আলী, মারসাদুল, মাষ্টার জসিম, হরিণাকুন্ডুর আতিয়ার ইব্রাহিম, ইমরান, আ.সাত্তার, খায়রুল, শওকত, জবেদ আলী, সবেদ আলী, মাজিদুল, শৈলকুপার শরিফুল, আব্দুস সালাম, আশরাফ, জহুরুল, জাহিদ, বিল্লাল, চেনি মেম্বার, মিজান, আবু বকরসভ মোট ৭ গাড়ি সেদিন রাতে টঙ্গীর ময়দানে জড়ো হয়ে হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছে।

আলোচনায় বলা হয়,এরা হত্যাকারী, খুনী, সন্ত্রাসী। এরা সুন্নতের লেবাসধারী। এরা দাওয়াত ও তাবলীগের মুখোশধারী ইসরাইলের ‘মোসাদ’ এবং ভারতের ‘র’ এর বাংলাদেশী এজেন্ট। এরা দ্বীন ইসলামকে বাংলাদেশ থেকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যা তাদের গ্রেফতার হওয়া মুআজ বিন নূরের রিমান্ডের স্বীকারোক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া আপনারা ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এর দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় এস.এম মিন্টুর “প্রতিবেশী দেশে বসে ইজতেমায় নাশকতার পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়লে সব কিছু বুঝতে সক্ষম হবেন। ১৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে তারা আক্রমন করবে বিধায় ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে তাদের নেতা খুনী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২নং ক্রমিক নং এ উল্লেখ করা হয়” সাথীরা প্রয়োজনীয় সামানা বিশেষভাবে উপর নীচের সামিয়ানা, টর্চলাইট, হ্যান্ড মাইক, শুকনা চিড়া-মুড়ি সাথে নিয়ে আসবেন”। আমরা আজ পর্যন্ত কখনো শুনি নাই যে, ইজতেমার ময়দানে টর্চলাইট এবং হ্যান্ড মাইক প্রয়োজন হয়। ময়দানে রাতে খুটিগুলোর সাথে পর্যাপ্ত বাল্বের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা থাকে এবং ময়দানে বড় বড় মাইকেরও ব্যবস্থা। থাকে। তাদের পরিকল্পনা ছিল যেহেতু রাতের অন্ধকারে হামলা করবে তাই তারা টর্চ লাইট দিয়ে সাথীদেরকে খুঁজে বের করবে আর হ্যান্ড মাইক দিয়ে সন্ত্রাসী খুনীদের কে ডাক দিবে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়,১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ এর রাতে হত্যাকান্ডের পর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উমূল মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) এর ফাতওয়া বিভাগ এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাত মসজিদ, মুহাম্মাদপুর এর ফাতওয়া বিভাগ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আবারো ফাতওয়া দেওয়া হয়েছে যে ‘মাসজিদ আল্লাহ তা’য়ালার ঘর, সেখান থেকে সমাজ ও জাতির জন্য হেদায়াতের আলো ছড়ায়। তাই যে সকল লোক সা’দ সাহেব কে অনুসরন করে এবং তার মনগড়া বক্তব্য সমূহকে সঠিক মনে করে, সাথে সাথে উলামায়ে কেরামকে গালিগালাজ করে এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মুসলমানদের জান-মালের কোন পরোয়া করে না, মসজিদে এমন ব্যক্তিদের পরিচালিত দাওয়াত তাবলীগ নামে গাশত, তামিল, বয়ানসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা জায়েয হবে না।

তেমনিভাবে সাধারণ মুসলমানদের জন্য এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাওয়া, তাদের যাবতীয় কার্যক্রমে শরিক হওয়া, সাহায্য-সহযোগিতা ও সমর্থন করা জায়েয হবে না।

এমনকি ওয়াকফ বোর্ড, ট্রাস্টি বোর্ড, মসজিদ কমিটির কোন দায়িত্বশীল বা নির্বাহী প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া জায়েয হবে না।

এই দুই মাদ্রাসার ফাতওয়া বিভাগের ওয়েব সাইটে ফাতওয়াগুলো বিদ্যমান। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফাতওয়া বিভাগ থেকেও এ সম্পর্কিত ফাতওয়া দেওয়া হয়েছিল যা তাদের ওয়েব সাইটে বিদ্যমান।

পরিশেষে তাঁরা বলেন, আমরা আপনাদের নিকট বিনীত আরজ করছি যে, দ্বীন-ইসলাম পরিচালিত হবে হক্কানী উলামা মাশায়েখদের রাহবারিতে, কোন গোমরাহী ফিরকার দ্বারা নয়। এই সাদপন্থী, খুনী, সন্ত্রাসীরা গোমরাহী। যারা মুসলমান হয়ে আরেক মুসলমান ভাইকে জবাই করতে পারে, এরা দাওয়াতের কাজ করার যোগ্যতা এবং অধিকার রাখে না। এরা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য ‘মোসাদ’ এবং ‘র’ এর নীল নকশা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। এদেরকে চিহ্নিত করুন, এদেরকে প্রতিহত করুন, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।