মাদারীপুরের কালকিনিতে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের মামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
আটককৃতদের মধ্যে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মুকুল বেপারী,ফয়সাল তালুকদার,শান্ত হাওলাদার,মোতালেব হোসেন মতু হাওলাদার,বেলায়েত মৃধা সহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গত ২৭ ডিসেম্বর সংগঠিত এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় কালকিনি থানায় দুটি হত্যা মামলা সহ তিনটি মামলা হয়েছে।এতে প্রায় ২শ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী এবং আরো প্রায় ২ শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।তবে যেহেতু ঘটনা একই দিনে একই বিষয় নিয়ে সংগঠিত হয়েছে, সেহেতু আসামীদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফয়সাল তালুকদারকে নিয়ে অভিযানে গিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে মাদারীপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন কাদের এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি),কালকিনি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল আটককৃত আসামীকে নিয়ে কালাই সরদারের চর এলাকায় অভিযান চালায়।
অভিযানে হত্যার পর নিহতের হাত পা বিচ্ছিন্নের কাজে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়।এসময় ঐ এলাকা হতে ব্যাগভর্তি হাতবোমাও পাওয়া যায়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সালাহ উদ্দিন কাদের,জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কে এম রাকিবুল হুদা,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নরুল আমিন,স্থানীয় সাংবাদিক রকিবুজ্জামান ও রনি আহমেদ নিপুল সহ ডিবি পুলিশ,কালকিনি থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য,গত ২৭ ডিসেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার শিকদার সহ তার ছেলে মারুফ শিকদার ও সিরাজ চৌকিদার নামের এক সহযোগী নিহত হন।এছাড়াও বেশ কয়েকজনের পা কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবার কালকিনি থানায় তিনটি পৃথক মামলা করেছে।
ইতিমধ্যে এসব মামলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন আসামীকে ধরেছে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনী।বাকিদের ধরতে পুলিশ সহ সকল বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)কে এম সোহেল রানা।
