গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালো শয্যাগুলো রোগীশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকজন শিশুসহ ভর্তি রোগী রয়েছে পুরোনো ৩১ শয্যায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগী। এদিকে বর্হিঃবিভাগেও কোন রোগী দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, বিশেষজ্ঞসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকার কথা ১২ জন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স ও ৫ জন উপ-সহকারী চিকিৎসকসহ ১০২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ মাত্র দুইজন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্স কর্মরত আছেন। এখনো শূন্য রয়েছে ৪৫ জনের পদ।
মাংলুং পাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ম্যালেরীয়া রোগী নাংলে খুমী জানান, হাসপাতালের বেডগুলো খুবই নোংরা, অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ । তাই এখানে ভর্তি হতে হলে বাড়ি থেকে আলাদা কম্বল নিয়ে আসতে হয়। চিকিৎসক সংকট জেনেও জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতালটিতে ভর্তি করতে হয়েছে। এখানে ওয়ার্ডবয়দের সচরাচর দেখা যায় না।
হুকু পাড়া থেকে পেট ব্যথা নিয়ে আসা আরেক রোগী অংথাংলিং খুমী জানান, এখানে নেই ডাক্তার , নেই নার্স, নাই যন্ত্রপাতি কার কাছে চিকিৎসা নিবো? । তাই আমাকে বাধ্য হয়ে জেলা সদরে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়েছে।
থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, কেবল দুজন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চালানো অসম্ভব। ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা দুজন। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লোকবল বাড়ানোর চাহিদাপত্র পাঠালেও কোন সুফল মিলছে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত